অভিনব কায়দায় দিনে দুপুরে চুরি , দুই পড়ুয়াকে গ্ৰেফতার করলো মন্তেশ্বর থানার পুলিশ

25th February 2020 বর্ধমান
অভিনব কায়দায় দিনে দুপুরে চুরি , দুই পড়ুয়াকে গ্ৰেফতার করলো মন্তেশ্বর থানার পুলিশ


অভিনব কায়দায় দিনে দুপুরেই চুরি । দুই  পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করলো পূর্ব বর্ধমানের  মন্তেশ্বর থানার পুলিশ । চালচলন,আদব কায়দা ও ঠাঁটবাটে যেন একেবারে হিরো!আর তা বজায় রাখতে গিয়েই টান পড়ে যায় টাকার।আর সেই টাকা তুলতেই চুরির ছক কষে মেধাবী দুই পড়ুয়া।যেমন ভাবনা তেমন কাজ।একটি স্কুটিকে সঙ্গী করে খদ্দের সেজে একের পর এক দোকানে যাওয়া।আর তারপর দিনেদুপুরেই  হাত সাফাইয়ের সফলতম অভিযান। মানে কখনো মোবাইল চুরি অথবা কখনো কোনো দামি জিনিস।আর অপারেশন শেষে সকলের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাওয়া।এইটাই নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো দ্বাদশ ও একাদশ শ্রেণীর দুই ছাত্রের।মুজিবর রহমান সেখ নামে ওই পড়ুয়ার সঙ্গী ১৬ বছরের এক কিশোর।কিন্তু তার আর শেষরক্ষা হল না।কারণ রবিবার দুপুরেই পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানা এলাকার দুটি দোকান থেকে চুরি যাওয়া দুটি মোবাইলের খোঁজে তদন্তে নামেন মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ তাদের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ধরেও ফেলে।এরপরেই মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হয়।
                       স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে,সোমবার রাতে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ নদিয়া জেলার নবদ্বীপ থানা এলাকায় হানা দিয়ে গ্রেফতার করে মুজিবর রহমান সেখ ও ষোলো বছর বয়সী আর এক পড়ুয়াকে।প্রথমজনের বাড়ি নবদ্বীপ রেলকলোনী ও দ্বিতীয়জনের বাড়ি স্থানীয় তেঘড়ি এলাকায়।মঙ্গলবার মুজিবরকে কালনা মহকুমা আদালতে ও  অপরজনকে পাঠানো হয় বর্ধমানের জুভেইনাল আদালতে।দুজনকেই পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানায়।গত রবিবার মন্তেশ্বর থানার মালডাঙ্গা বাজারে সত্যনারায়ণ নন্দী নামে এক ব্যবসায়ীর মোবাইলের দোকান থেকে একটি স্মার্টফোন চুরি যায়।দোকান মালিক জানান দুই যুবক তার দোকানে মোবাইলের কভার কিনতে আসে।তিনি পিছন ফিরে মোবাইল কভার বের করার সময় দোকান থেকে একটি দামি ফোন হাতসাফাই করে নিয়ে চম্পট দেয়।পরে সত্যনারায়ণবাবু তা বুঝতে পেরে মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ জানান।এরপরেই পুলিশ ওই এলাকায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুজনকে চিহ্নিত করে।আরো জানা যায় যে,ওইদিনই এই ঘটনার আগেই মন্তেশ্বর বাজারে নির্মল রায়ের জুতোর দোকান থেকে তার মোবাইল ফোন চুরি যায়।নির্মলবাবু তখন দোকান থেকে কিছুটা দুরে জল আনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তার মোবাইল চুরি যায়।

ছবি : ধৃত ২ পড়ুয়া । সিসিটিভি র ফুটেজ থেকে পাওয়া ছবি ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।